রক্ষণশীলদের পাঁচ বছরের ক্ষমতার অবসান ঘটিয়ে উরুগুয়ের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বামপন্থী রাজনীতিবিদ ইয়ামান্দু ওরসি নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল, রোববার (২৪ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এ নির্বাচনে ফ্রেন্টে অ্যাম্পলিও অ্যালায়েন্স (ব্রড অ্যালায়েন্স) এর প্রার্থী হিসেবে ইয়ামান্দু ওরসি এবং ন্যাশনাল পার্টির আলভারো দেলগাদো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দ্বিতীয় দফায় ভোটের পর ইয়ামান্দু ওরসি ১১ লাখ ২৩ হাজার ৪২০ ভোট পেয়ে জয়ী হন, যখন আলভারো দেলগাদো পেয়েছেন ১০ লাখ ৪২ হাজার ১ ভোট।
এই নির্বাচনে দেলগাদো পরাজয় মেনে নিয়ে ওরসিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নির্বাচন পরবর্তী বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, উরুগুয়েতে ক্ষমতার পালাবদল হলেও অর্থনৈতিক দিক থেকে তেমন কোনো ব্যাপক পরিবর্তন আসবে না। কোভিড-১৯ মহামারি ও ভয়াবহ খরার কারণে উরুগুয়ের অর্থনীতি কিছুটা ধীর হয়ে পড়েছিল, তবে বর্তমানে এটি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
উরুগুয়ের নির্বাচনী আদালত জানিয়েছে, ৯৪ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থীরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি এবং মাদকসংক্রান্ত অপরাধ দমনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
২০০৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত বামপন্থী সরকারের শাসনামলে উরুগুয়েতে গর্ভপাত এবং সমকামী বিয়েকে বৈধ করা হয়। এছাড়াও, ২০১৩ সালে উরুগুয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বিনোদনমূলকভাবে গাঁজা ব্যবহারের অনুমতি দেয়।